আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান

আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান

ছবি নিজেই আলাদা একটি ভাষা। প্রতিটি আলোকচিত্র একেকটি ঘটনা ও সময়কে ধারণ করে। আলোকচিত্র থেকে একটি দেশের ও সমাজের অতীত ও ঐহিত্য সম্পর্কে জানা যায়।
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
রাজধানীর হাটখোলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১ আগস্ট ২০২২ (সোমবার) একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 'দৃশ্যগল্প : আমার দেশ আমার জীবন' ভাবনাকে উপজীব্য করে মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার মূল ভাবনা ছিলো 'আমার ঢাকা'। প্রদর্শনীর জন্য বিষয় উন্মুক্ত ছিলো।
প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রিপা তাসনিম মৌরি। ২য় ও ৩য় হয়েছেন যথাক্রমে আফসানা আক্তার ও সায়মা রহমান এশা। তারা দুজনই জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিচারকের বিশেষ বিবেচনায় স্থান পেয়েছেন একই বিভাগের আরো দুই শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার নীলা ও রামিসা হোসেইন রাইমা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১:০০টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের চেয়ারপারসন হাসান শিরাজী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন মোছাঃ শাহনাজ পারভীন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকার, সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি এবং একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মালেকা বেগম। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন প্রতিমা দেব, নাজনীন সুলতানা, শের শারমিন আজমিরি, আসিফ নেওয়াজ, তুষার তালুকদার, মাসুমা ইয়াসমিন ও মাহবুব ইকবাল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা আয়োজনের তত্ত্বাবধান করেন মিডিয়া ক্লাবের মডারেটর ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হাসিনুস সাবাহ্ এবং একই বিভাগের শিক্ষক জারিন তাসনিম। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফটোসাংবাদিক তাসলিমা আখতার।
অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের একজন শর্মিষ্ঠা মণ্ডল বলেন, 'আজকের এই অনুষ্ঠানটির জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছি। এই কাজটি করতে গিয়ে আমি খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, পুরো বিষয়টি অনেক উপভোগ করেছি।'
শিক্ষার্থী ফারহিন মাহবুব বলেন, 'আজকের অনুষ্ঠানের কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। গত এক সপ্তাহ আমার সব সহপাঠী ও শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজনের কাজটি অনেক উপভোগ্য ছিলো।'