গবেষণায় মানুষকে সরাসরি যুক্ত করতে হবে : ড. অনিন্দিতা ঘোষাল

'সামাজিক গবেষণায় মানুষকে সরাসরি যুক্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের জন্য কেবল নথিপত্রের ওপর নির্ভর না করে মানুষের কাছে যেতে হবে এবং তাদের কাছ থেকেই তথ্য তুলে আনতে হবে।'
১৯ জানুয়ারি ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিন্দিতা ঘোষাল। ইতিহাসের এ শিক্ষক ও গবেষক সেমিনারে উদ্বাস্তু নারীদের অবস্থা নিয়ে পরিচালিত গবেষণার তথ্য তুলে ধরে গবেষণার গুরুত্ব ও পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করেন। সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিতে। সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে 'আনহার্ড অ্যান্ড আনটোল্ড স্টোরিস : রিকভারি অব দ্য হিস্ট্রি অব উইমেন রিফিউজিস অ্যান্ড দেয়ার মুভমেন্টস' শিরোনামে আলোচনা উপস্থাপন করেন ড. অনিন্দিতা ঘোষাল।

ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান ড. ঘোষাল গবেষণায় নারী উদ্ধাস্তু বা শরণার্থীদের না বলা কথা বা তাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার ওপর জোর দেন। প্রকৃত তথ্য তুলে আনার ক্ষেত্রে গবেষকদের কী ধরনের চ্যালেেঞ্জের মুখে পরতে হয়, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান, রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আব্দুস সেলিম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোছা. শাহনাজ পারভীন, স্যোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকার এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ড. অনিন্দিতা ঘোষালকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং তার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক উপহার তুলে দেন উপাচার্য ড. পারভীন হাসান।